শ্রীকৃষ্ণ এবং অর্জুন

শ্রীকৃষ্ণ এবং অর্জুন
অর্জুন তোমার আমার বহুবার জন্ম হয়েছে। সে কথা তোমার মনে নেই, সবই আমার মনে আছে।

Tuesday, July 31, 2012

পিরামিডের অজানা রহস্য !




Shusanta Banda

প্রাচীন সপ্ত আশ্চর্যের একটি মিশরের পিরামিড সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় ও আশ্চর্যময় স্থাপত্যের নাম পিরামিড রূপকথার পুস্পিতবাক্যে নানা রঙ্গে সাজিয়ে ও মিশিয়ে কবি, লেখকরা তাকে নিয়ে রচনা করেছেন বহু কাব্য, ইতিহাস অন্যদিকে প্রচুর শক্তি সম্পন্ন চশমা, লেন্স চোখে এটে তাবৎ বিশ্বের বিজ্ঞানীরা খুঁজে দেখতে চেষ্টা করছেন পিরামিডের অর্ন্তদিক আর নিরপেক্ষ দর্শকগন মন্ত্রমুগ্ধের মত যুগযুগ ধরে পিরামিডের সৌন্দর্য উপভোগ করে চলছেন কিন্তু পিরামিড কিংবা ইজিপ্টের রহস্য জালের শেষ কোথায় ?

বহু প্রাচীন এবং আধুনিক বিজ্ঞানী এবং ঐতিহাসিকদের মতে প্রাচীন বৈদিক সভ্যতা এবং মিশরের সভ্যতার মধ্যে শতভাগ মিল পাওয়া যায় পিটার ভন বোহরেন, আল মুনসুরী, স্যার উইলিয়াম জোনস, পল উইলিয়াম রবার্ট, এডলফ ইরামসহ বহু ঐতিহাসিক এই কথা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন প্রথমত মিশর বা ইজিপ্টশব্দটি এসেছে সংস্কৃত অজপবা অজপতিথেকে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের পিতামহ আবার শ্রীরামের নামে যে ইজিপ্টের নামকরণ করা হয়েছে তার সত্যতা মিলেছে স্বয়ং ইজিপ্টের শাস্ত্রগ্রন্থে মিশরবাসীরা দেবতা বা ভগবানকে ফারাওনামে সম্বোধন করে আশ্চর্যজনকভাবে মিশরের এক ফারাও এর নাম রামইসিড. এস কে ভি তার গ্রন্থে হিন্দু মাইথোলজী এন্ড প্রিহিস্টোরীতে মিশরের প্রাচীন ইতিহাস পর্যালোচনা করেছেন তিনি লিখেছেন একসময় মিশরে দদাতি মহারাজ এবং তার দুই স্ত্রী দেবযানী ও শর্মিষ্ঠা বাস করতেন একসময় এক বিশেষ কারণে দদাতি মহারাজ যুবক অবস্থায় বৃদ্ধ দশা প্রাপ্ত হয়েছিলেন তখন তিনি তার পুত্রদের অনুরোধ করেন তাকে তাদের যুবক দেহ প্রদান করে বৃদ্ধ দেহ বিনিময় করার জন্য অন্যান্য পুত্ররা পিতাকে সম্মতি জ্ঞাপন না করলেও কনিষ্ঠ পুত্র পুরু সম্মতি জ্ঞাপন করে এবং সিংহাসন আরোহন করে পরবর্তীতে এই পুরুর বংশধররা একসময় পরুবাসএবং পরবর্তীতে ফারাওসনামে মিশরে পরিচিতি লাভ করে

“Proof of Vedic Cultures Global Existence”
নামক গ্রন্থে স্টিফেন নেপ লিখেছেন যে, পাশ্চত্যবাসীরা পূর্বে রামকে রাহামনামে উচ্চারণ করত কালের প্রভাবে পরবর্তীতে রা উচ্চারন বিস্মৃত হয় এবং আফ্রিকার স্কুল পাঠ্যবইয়ে লিখিত আছে যে, আফ্রিকানদের কুশইটেসবলা হয় (কুশইটেস এসেছে রামপুত্র কুশ থেকে) এবং তাদের পিতার নাম হামঅন্যদিকে রামচন্দ্রের অন্য পুত্র লবসংস্কৃত ভাষায় লব্য নামে পরিচিতি যার থেকে লিবিয়ানামক দেশের নাম সমাদৃত হয়েছে অপরদিকে ব্রিটিশ আর্মি অফিসার জন এইচ স্পিকি ১৮৪৪ সালে মিশরের বিখ্যাত নাইল বা নীল নদের উৎস আবিষ্কার করেন সংস্কৃত শব্দ নীল (Blue) থেকে মূলত নীল নদ এসেছে এছাড়া মিশরের বহু স্থান এবং বস্তুর নামের উৎস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এগুলোর উৎস মূলত বৈদিকশাস্ত্র বা সংস্কৃত ভাষা

এছাড়া সনাতন বৈদিক ধর্ম থেকেই যে প্রাচীন ইজিপশিয়াম ধর্মের উদ্ভব তার বহু নিদর্শন সেখানে রয়েছে স্কন্দ পুরাণ মতে, মিশর বা আফ্রিকা শঙ্খ দ্বীপ হিসেবে পরিচিত এছাড়া সৃষ্টিলীলা পর্যবেক্ষণ করলেও উভয় ক্ষেত্রে মিল পাওয়া যায় প্রাচীন ইজিপ্ট ধর্ম মতে হ্রি হিরি হচ্ছেন সমস্ত দেবতা এবং বিগ্রহের উৎস যেখানে বৈদিক মতে, শ্রীহরি বা শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন সমস্ত দেবতাদেরও ঈশ্বর বা পরমেশ্বর এটি সত্যিই আশ্চর্যকর মিল এছাড়া মিশরীয় শাস্ত্রে আরো উল্লেখ আছে যে, সৃষ্টির পূর্বে নাহরাইন (NHRYN) (বৈদিক শাস্ত্র মতে নারায়ণ) জলের উপর শায়িত ছিলেন এছাড়া প্রাচীন ইজিপ্টের জনগন ছিলেন কঠোর নিরামিশাষী তাদের ঔষধবিদ্য, মহাকাশবিদ্যা ও ভাস্তু বিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন

ঐতিহাসিক মতে, বৈদিক যুগে সমগ্র পৃথিবী বৈদিক শাস্ত্র মতে পরিচালিত হত তৎকালীন সময়ে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ ভারতবর্ষে এসে তপস্যা, সংযম এবং শাস্ত্রগ্রন্থাদি অধ্যয়ন করতেন এভাবেই বৈদিক ভাস্তুশাস্ত্র সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে বিখ্যাত ভাস্তুবিদ ড. ভি গণপতি স্থপতি পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভারতের দক্ষিণ অংশ, ইজিপ্টের পিরামিড এবং মেক্সিকোর মায়ান সভ্যতার মধ্যে স্থাপত্যগত মিল পাওয়া যায় ভাস্তু মতে যাকে শিখরবলা হয় ইজিপ্টবাসীরা তাকে পিরামিডবলে পিরামিডের বিস্ময়কর স্থাপত্য মূলত ভাস্তুশাস্ত্রের একটি ক্ষুদ্র শাখা মাত্র এছাড়া পিরামিডের অভ্যন্তরেও বৈদিক সভ্যতার অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে যেমনঃ- মিশরীয়রা পূর্ণজন্ম বিশ্বাস করে তারা বিশ্বাস করে যে, মৃত্যুর পর আত্মা পরবর্তী দেহ লাভ করে এবং পরবর্তী দেহ লাভ না করা পর্যন্ত সে আত্মার সুরক্ষাকল্পে তারা মমির সন্নিকটে খাদ্যদ্রব্য রেখে দেয় এছাড়া মিশরে ৩০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দেরও প্রাচীন পিরামিডে খনন কার্য সমাপনের সময় ভগবদগীতা শ্লোক সমন্বিত প্যাপিরাস পাতা আবিষ্কৃত হয় শ্লোকটি ছিল বাসাংসি জীর্ণানি যথা…..” অর্থাৎ কেউ যখন জীর্ণ বস্ত্র ত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান করে তেমনি আত্মা জীর্ণ দেহ পরিত্যাগ করে এছাড়া আরো আশ্চর্যকর ব্যাপার হচ্ছে যে, ভারতীয় মসলিনকাপড় দ্বারা মৃত ফারাওদের দেহকে মোড়ানো হয় এছাড়া প্রাচীন ভারতবর্ষের বৈদিক শাস্ত্রবিদগণও পিরামিড তৈরি করতে জানত ঠিক যেমন সম্প্রতি মহেঞ্জোদারোতে বৈঞ্জানিক খননকার্য সমাপনের সময় মিশরের টেরাকোটা মমির মত অবিকল মমি আবিষ্কৃত হয়

পরবর্তী পোষ্টে পিরামিড সম্পর্কিত আরো চমকপ্রদ তথ্য উপস্থাপন করা হবে । (চলবে..........)

http://egy-king.blogspot.com/2012/04/egypt-and-vedic-civilization.html
http://www.indiadivine.org/audarya/spiritual-discussions/42473-vedic-founders-egypt-pictures-my-sweet-lord.html

বাগেরহাটে হিন্দু গ্রামে মুসলমানদের হামলাঃ পুলিশ নির্বিকার

বাগেরহাটের ফকিরহাটে হিন্দু অধ্যুষিত একটি গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে। ভাংচুর হয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যসহ দুই ব্যক্তির বাড়ি। 

নলধা মৌভোগ ইউনিয়নের নলধা ব্রহ্মডাঙ্গা গ্রামে সোমবার রাতে এই হামলার পর ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবপ্রসাদ পাল পুলিশ মোতায়েনের সুপারিশ করেছেন। একই দাবি জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোহম্মদ মহসীনও। 

তবে ফকিরহাট থানার ওসি লিয়াকত হোসেন বলেছেন, পুলিশ মোতায়েনের পরিস্থিতি হয়নি। 

এই বিষয়ে ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নিয়ামত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নলদা ব্রহ্মডাঙ্গা গ্রামে হামলাকারীরা চি‎িহ্নত সন্ত্রাসী এবং দুর্ধর্ষ প্রকৃতির। 

“তারা এলাকার হিন্দু সম্ú্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে,” বলেন তিনি। 

উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, “এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে ফকিরহাট থানার ওসিকে বিভিন্ন সময় জানানো হলেও তাদের তৎপরতা এখনো কমেনি।” 

সোমবারের হামলায় আহতরা হলেন- সুব্রত রায় (৪০), তার স্ত্রী বাসন্তী রায় (৩৪), তাদের স্কুলপড়–য়া মেয়ে সুবর্ণা রায় (১৩), স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মকর মণ্ডলের ছোট ভাই তাপস মণ্ডল (২২), পলাশ মণ্ডল (৩০) ও প্রহ্লাদ মণ্ডল (১৯)। 

এর মধ্যে সুব্রত ও তাপসকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। 

শনিবার ব্রহ্মডাঙ্গা মাঠে স্থানীয় কিশোরদের মধ্যে ফুটবল খেলা চলাকালে বিপ্লব ও বাবুল শেখ নামে দুই কিশোরের সঙ্গে স¤্রাট ও ঝংকার নামে দুই হিন্দু কিশোরের মারমারি হয়। তার জের ধরেই সোমবারের হামলা হয়। 

ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোহম্মদ মহসীনসহ গ্রামের বাসিন্দারা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবারের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হলেও সোমবার রাত ৮টার দিকে নলধা গ্রামের শহীদ মাতুব্বর ও ছুটে সরদারের নেতৃত্বে অন্তত ৫০ জন লোক লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হিন্দু অধ্যুষিত নলধা ব্রহ্মডাঙ্গা গ্রামে হামলা চালায়। 

হামলাকারীরা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মকর মণ্ডল এবং সুব্রত রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করে। 

গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ওই রাতেই ফকিরহাট থানার ওসি লিয়াকত হোসেনকে ঘটনা জানিয়ে পুলিশ মোতায়েনের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে ফল না হওয়ায় তারা আতঙ্কে ভুগছেন। 

মঙ্গলবার দুপুরে ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবপ্রসাদ পাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দেন। একইসঙ্গে তিনি গ্রামবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফকিরহাট থানার ওসিকে চিঠি দিয়েছেন। 

এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মহসীনও এলাকায় পুলিশ মোতায়েনের জন্য ওসির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। 

দেবপ্রসাদ পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে সোমবার রাতে ফকিরহাট থানার ওসি আমাকে জানিয়েছিলেন। আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার ও প্রত্যক্ষদর্শী অর্ধশতাধিক মানুষের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। 

“পার্শ্ববর্তী গ্রামের শহীদ ও ছুটে নামে দুই ব্যক্তির নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে।” 

দেবপ্রসাদ জানান, তিনি বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘুরে আসার পর মঙ্গলবার বিকালে ফকিরহাট থানার ওসি লিয়াকত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।” 

তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। 

হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে ওসি বলেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে তাদের চি‎িহ্নত করা হচ্ছে।” 

ওই ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান। 

Sunday, July 29, 2012

বাড়ির ভিতর দিয়ে রাস্তা না দেওয়ায় অনেক হিন্দু বাড়িতে হামলা




বাড়ির ভিতর দিয়ে রাস্তা করতে না দেওয়ায় নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় হিন্দুদের কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 


উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের কুন্দারপাড়া গ্রামে গত মঙ্গলবার, শুক্রবার ও রোববার তিন দফায় এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত ওই গ্রামের সুনীল পালের মেয়ে অষ্টমী রাণী পাল (২৫)। 

হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার মতলিব মিয়া নামের ওই গ্রামের এক বাসিন্দাকে পুলিশ আটক করে থানায় নেওয়ার পরেও ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

এ বিষয়ে শিবপুর থানার ওসি বেলায়েত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লিখিত অভিযোগ না থাকায় মতলিব মিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলা হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

অষ্টমী রাণী বলেন, বাড়ির ভিতর দিয়ে রাস্তা না দেওয়ায় এলাকার প্রভাবশালী মতলিব মিয়া ও তার লোকজন তিন দফায় হামলা চালিয়ে প্রফুল্ল পাল, জগদীশ পাল ও তাদের বাড়িতে লুটপাট ও ভাংচুর করে। 

এ ব্যাপারে বাঘাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন বাবলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মতলিব মিয়ার বাবা দীর্ঘদিন আগে সুনীল পালের কাছে সাত শতাংশ জমি বিক্রি করেছিল। পাল বাড়ির লোকজন ৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে সেখানে পুইন (মাটির পাত্র বানানোর জায়গা) বানিয়ে কাজ করে আসছিল। কিন্তু ওই জায়গাটির কেনো রেজিস্ট্রি হয়নি। এখন বাড়ির ভিতর দিয়ে রাস্তা না দেওয়ার অজুহাতে জায়গাটি আবার দখলে নেওয়ার জন্যই মতলিব মিয়া তিন দফা হামলা চালিয়েছে।” 

তিনি বলেন, “মতলিবকে পুলিশ আটক করলে থানায় গিয়ে তিনি জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার অঙ্গীকার করে ছাড়া পান। কিন্তু থানা থেকে এসে তিনি ও তার লোকজন কুমারদের ওপর নির্যাতন করছে।” 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য মতলিব মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। 

উলফার জন্য আনা ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক করায় পুলিশের সার্জেন্ট আলাউদ্দিনকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়া হয়




১০ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলায় পুলিশের সার্জেন্ট আলাউদ্দিন গতকাল রোববার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাতে অস্ত্র আটকের কারণে তৎকালীন সরকার আমলে তিনি কী ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন তার বিবরণ দেন। তাঁর ওপর র‌্যাবের নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দেন আলাউদ্দিন। সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আজ সোমবার তিনি সাক্ষ্য দেবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) কামাল উদ্দিন আহম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটিঘাটে অস্ত্র খালাসের খবর পেয়ে প্রথম ঘটনাস্থলে যান সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিন ও সার্জেন্ট আলাউদ্দিন। তাঁরা অস্ত্র পরিবহনের জন্য আনা ১০টি ট্রাক ও খালাস হওয়া অস্ত্র আটক করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খবর দেন। এ কারণে তাঁদের ওপর তৎকালীন সরকারের ক্ষোভ ছিল। ঘটনার এক বছর পর এই দুই সার্জেন্টকে র‌্যাব আটক করে। তাঁদের দুটি একে-৪৭ রাইফেলসহ চালান দিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। নোয়াখালীর সুধারাম থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা করা হয়েছিল। তিনি গতকাল দেওয়া আংশিক সাক্ষ্যে তাঁর ওপর তখন র‌্যাবের নির্যাতনের বিবরণ দেন।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে সার্জেন্ট হেলাল বলেন, ২০০৫ সালের ১৯ আগস্ট তিনি ঢাকার বাংলামোটর মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তাঁকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে র‌্যাবের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমাকে ঢাকার উত্তরায় র‌্যাব ইন্টেলিজেন্স উইংয়ে নিয়ে যায়। সেখানে লেফটেন্যান্ট কর্নেল গুলজার নিজের পরিচয় দেন এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকসংক্রান্ত অনেক তথ্য জানতে চান। এরপর সার্জেন্ট আলাউদ্দিনকে আমার সামনে হাজির করেন।’ 
সার্জেন্ট হেলাল বলেন, ওই দিন রাতে তাঁকে ও আলাউদ্দিনকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র‌্যাব-৭-এর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ‘সকালে র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমদাদের কক্ষে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি জানতে চান সার্জেন্ট হেলাল কে? আমি পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্নেল এমদাদ আমাকে থাপড় মারেন। আমি মাটিতে পড়ে যাই। এরপর লোহার রড দিয়ে অনবরত পেটাতে থাকেন। আমার বাঁ পা ভেঙে যায়। তখনো আমি জানি না আমার অপরাধ কী।’ এটুকু বলেই কাঠগড়ায় দাঁড়ানো সার্জেন্ট হেলাল ডুকরে কেঁদে ওঠেন। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘এত দিন কেউ আমার কথা শোনেনি।’ এ সময় তাঁকে সান্ত্বনা দেন বিচারক। 
হেলাল বলেন, ‘পা ভাঙার পর র‌্যাবের অধিনায়ক বললেন, ওকে ক্রসে (ক্রসফায়ার) দিয়ে দাও। তখন আমি চিৎকার করে জানতে চাই, আমার অপরাধ কী। তিনি বলেন, তোর জন্য দেশের আজ এই অবস্থা। জবাবে আমি বলি, স্যার, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পালন করেছি মাত্র। যদি কোনো দোষ হয়ে থাকে সেটা আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের, আমার নয়। এরপর তিনি আমার কাছ থেকে বিস্তারিত শোনেন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।’ ওই সময় তাঁর ভাঙা পায়ের এক্স-রে প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
সার্জেন্ট হেলাল আদালতকে জানান, চিকিৎসার পর সুধারাম থানার অস্ত্র মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 
প্রসঙ্গত, আটক অবস্থায় ২০০৬ সালের ২২ ও ২৩ মে চট্টগ্রামের আদালতে জবানবন্দি দেন সার্জেন্ট হেলাল। অবশ্য পরে ওই অস্ত্র মামলা মিথ্যা প্রমাণ হয় এবং হেলাল ও আলাউদ্দিন খালাস পেয়ে আবার চাকরিতে যোগ দেন। বর্তমান সরকারের আমলে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার অধিকতর তদন্তের সময় এই দুই সার্জেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কর্মকর্তারা। তাঁরা আসামি শনাক্তকরণ মহড়ায় (টিআই প্যারেড) ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি এনএসআইয়ের সাবেক উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন অস্ত্র খালাসের সময় উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 
এদিকে সার্জেন্ট হেলালের সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আসামি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দারের আইনজীবী কামরুল ইসলাম আপত্তি তোলেন। তিনি আদালতে বলেন, ‘সাক্ষীকে পুনরায় সাক্ষ্য প্রদান করানোর জন্য আদালতে আবেদন করতে হয়। কিন্তু আবেদন ছাড়াই গত ১০ কার্যদিবস সাক্ষী তালিকায় তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় কেন আবার তাঁর সাক্ষ্য নেওয়া হবে তা পরিষ্কার নয়।’
জবাবে পিপি কামাল উদ্দিন আহম্মদ আদালতে বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪০ ধারায় আসামিকে রি-কল করার বিধান আছে। এ জন্য ২৬ জুলাই আদালতে আবেদন করেছি। আসামি পক্ষ যে আপত্তি তুলছেন তা বিধি সম্মত নয়।’ 
এর আগে গতকাল বেলা ১২টার দিকে আদালতে সাক্ষী সিআইডির সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ফররুখ আহমেদ চৌধুরীকে জেরা করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার। জেরার শুরুতে ১০ জুলাই শুনানির নির্ধারিত দিনে আদালতে অনুপস্থিত থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেন ফররুখ আহমেদ। তিনি আদালতকে জানান, ৩ থেকে ৫ জুলাই আদালতে সাক্ষ্য ও জেরা শেষে ঢাকায় ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

উলফার জন্য আনা ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক করায় পুলিশের সার্জেন্ট আলাউদ্দিনকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়


প্রথম আলো




১০ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলায় পুলিশের সার্জেন্ট আলাউদ্দিন গতকাল রোববার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে ন। তাতে অস্ত্র আটকের কারণে তৎকালীন সরকার আমলে তিনি কী ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন তার বিবরণ দেন। তাঁর ওপর র‌্যাবের নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দেন আলাউদ্দিন। সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আজ সোমবার তিনি সাক্ষ্য দেবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) কামাল উদ্দিন আহম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটিঘাটে অস্ত্র খালাসের খবর পেয়ে প্রথম ঘটনাস্থলে যান সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিন ও সার্জেন্ট আলাউদ্দিন। তাঁরা অস্ত্র পরিবহনের জন্য আনা ১০টি ট্রাক ও খালাস হওয়া অস্ত্র আটক করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খবর দেন। এ কারণে তাঁদের ওপর তৎকালীন সরকারের ক্ষোভ ছিল। ঘটনার এক বছর পর এই দুই সার্জেন্টকে র‌্যাব আটক করে। তাঁদের দুটি একে-৪৭ রাইফেলসহ চালান দিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। নোয়াখালীর সুধারাম থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা করা হয়েছিল। তিনি গতকাল দেওয়া আংশিক সাক্ষ্যে তাঁর ওপর তখন র‌্যাবের নির্যাতনের বিবরণ দেন।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে সার্জেন্ট হেলাল বলেন, ২০০৫ সালের ১৯ আগস্ট তিনি ঢাকার বাংলামোটর মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তাঁকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে র‌্যাবের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমাকে ঢাকার উত্তরায় র‌্যাব ইন্টেলিজেন্স উইংয়ে নিয়ে যায়। সেখানে লেফটেন্যান্ট কর্নেল গুলজার নিজের পরিচয় দেন এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকসংক্রান্ত অনেক তথ্য জানতে চান। এরপর সার্জেন্ট আলাউদ্দিনকে আমার সামনে হাজির করেন।’ 
সার্জেন্ট হেলাল বলেন, ওই দিন রাতে তাঁকে ও আলাউদ্দিনকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র‌্যাব-৭-এর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ‘সকালে র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমদাদের কক্ষে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি জানতে চান সার্জেন্ট হেলাল কে? আমি পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্নেল এমদাদ আমাকে থাপড় মারেন। আমি মাটিতে পড়ে যাই। এরপর লোহার রড দিয়ে অনবরত পেটাতে থাকেন। আমার বাঁ পা ভেঙে যায়। তখনো আমি জানি না আমার অপরাধ কী।’ এটুকু বলেই কাঠগড়ায় দাঁড়ানো সার্জেন্ট হেলাল ডুকরে কেঁদে ওঠেন। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘এত দিন কেউ আমার কথা শোনেনি।’ এ সময় তাঁকে সান্ত্বনা দেন বিচারক। 
হেলাল বলেন, ‘পা ভাঙার পর র‌্যাবের অধিনায়ক বললেন, ওকে ক্রসে (ক্রসফায়ার) দিয়ে দাও। তখন আমি চিৎকার করে জানতে চাই, আমার অপরাধ কী। তিনি বলেন, তোর জন্য দেশের আজ এই অবস্থা। জবাবে আমি বলি, স্যার, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পালন করেছি মাত্র। যদি কোনো দোষ হয়ে থাকে সেটা আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের, আমার নয়। এরপর তিনি আমার কাছ থেকে বিস্তারিত শোনেন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।’ ওই সময় তাঁর ভাঙা পায়ের এক্স-রে প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
সার্জেন্ট হেলাল আদালতকে জানান, চিকিৎসার পর সুধারাম থানার অস্ত্র মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 
প্রসঙ্গত, আটক অবস্থায় ২০০৬ সালের ২২ ও ২৩ মে চট্টগ্রামের আদালতে জবানবন্দি দেন সার্জেন্ট হেলাল। অবশ্য পরে ওই অস্ত্র মামলা মিথ্যা প্রমাণ হয় এবং হেলাল ও আলাউদ্দিন খালাস পেয়ে আবার চাকরিতে যোগ দেন। বর্তমান সরকারের আমলে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার অধিকতর তদন্তের সময় এই দুই সার্জেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কর্মকর্তারা। তাঁরা আসামি শনাক্তকরণ মহড়ায় (টিআই প্যারেড) ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি এনএসআইয়ের সাবেক উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন অস্ত্র খালাসের সময় উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 
এদিকে সার্জেন্ট হেলালের সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আসামি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দারের আইনজীবী কামরুল ইসলাম আপত্তি তোলেন। তিনি আদালতে বলেন, ‘সাক্ষীকে পুনরায় সাক্ষ্য প্রদান করানোর জন্য আদালতে আবেদন করতে হয়। কিন্তু আবেদন ছাড়াই গত ১০ কার্যদিবস সাক্ষী তালিকায় তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় কেন আবার তাঁর সাক্ষ্য নেওয়া হবে তা পরিষ্কার নয়।’
জবাবে পিপি কামাল উদ্দিন আহম্মদ আদালতে বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪০ ধারায় আসামিকে রি-কল করার বিধান আছে। এ জন্য ২৬ জুলাই আদালতে আবেদন করেছি। আসামি পক্ষ যে আপত্তি তুলছেন তা বিধি সম্মত নয়।’ 
এর আগে গতকাল বেলা ১২টার দিকে আদালতে সাক্ষী সিআইডির সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ফররুখ আহমেদ চৌধুরীকে জেরা করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার। জেরার শুরুতে ১০ জুলাই শুনানির নির্ধারিত দিনে আদালতে অনুপস্থিত থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেন ফররুখ আহমেদ। তিনি আদালতকে জানান, ৩ থেকে ৫ জুলাই আদালতে সাক্ষ্য ও জেরা শেষে ঢাকায় ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

ভাগবতের আলোকে নিউটনের তৃতীয় সূত্র


সুশান্ত বান্দা




প্রতিটি ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া রয়েছে

তেমনি ভাগবতে বলছে ধর্ম হচ্ছে ভগবৎপ্রদত্ত আইন, এই আইন ভঙ্গ করলে তাকে অবশ্যই দুঃখ পেতে হয়
ভগবানের প্রতি অবাধ্যতা হলে পাপ হয়, আর পাপ হলে দুঃখের সৃষ্টি হয় যেমনঃ

# কলকারখানা থেকে যে দূষণ হয়, সে দূষণ থেকে বায়ু দূষিত হয় যার ফলে শ্বাস নেওয়ার জন্য সতেজ বায়ুর অভাব হয়
#
আবার কলকারখানা থেকে যে বর্জ্য পদার্থ বের হয় তা পানি দূষিত করে যার ফলে ভাল পানি আমরা পাচ্ছি না
#
তামাকদ্রব্য উৎপাদনের জন্য বা চাষ করার জন্য আমরা ভূমি ব্যবহার করে থাকি যার ফলে ভূমির উর্বরতা নষ্ট হয় এবং খাদ্যাভাব দেখা দেয়
#
লক্ষ লক্ষ গোহত্যা বা পশু হত্যার ফলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয় । (আইনষ্টাইনের পেইনওয়েব থিওরি)
#
দিন দিন শিল্প কারখানা বৃদ্ধি হওয়ার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে মেরুপ্রদেশের বরফগুলো গলে যায় এবং জলচ্ছাস, বন্যা থেকে শুরু হয়ে এমনকি আবহাওয়া পর্যন্ত পরিবর্তন করে দেয়
#
বেশি বেশি মাংসের কারখানা বৃদ্ধি হওয়ার ফলে পানির দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দিচ্ছে
#
গাছপালা নিধন, বন নিধন বা বন উজাড় করে দিচ্ছে ফলে বায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমান বৃদ্ধি পায় যার ফলে রোগব্যাধি বেড়ে যাচ্ছে
#
আধুনিক ইদুর দৌড়ের ফলে মানুষ পঁচা-বাসি খাবার আহার করছে যার ফলে মানসিক চাপ, হৃদ সমস্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে
#
অবৈধ যৌনসঙ্গের ফলে এইডস হচ্ছে
বেশি বেশি ধূমপানের ফলে ক্যান্সার হচ্ছে
বেশি বেশি মদ্যপানের ফলে লিভার সমস্যা হচ্ছে
বেশি বেশি জুয়া খেলার ফলে মানুষের নৈতিকতা নষ্ট হচ্ছে যার ফলে লোভ, ঈর্ষা ও ক্রোধের সৃষ্টি হচ্ছে

আসুন আমরা আমাদের জীবন এই শাস্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত করি, ভগবান আমাদের যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে সেভাবে আমরা জীবনযাপণ করি তাহলে আমরা সুখে থাকতি পারি

বেদ,বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম





মহাত্মা গৌতম বুদ্ধ,এক চিরস্মরনীয় বৈদিক পথদ্রষ্টা

মহাভারত এর শান্তিপর্বের ১৯৩/ ৬ এ বলা হয়েছে "বুদ্ধ" শব্দের অর্থ হল জ্ঞানীজীবদ্দশায় তত্‍কালীন তথাকথিত ব্রাক্ষ্মনদের বেদবিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার জন্য 'তথাগত' নামক সঙ্ঘের প্রবর্তন করেন যা তার মৃত্যুর অনেক পরে একটি আলাদা ধর্মের রুপ লাভ করে(বৌদ্ধ ধর্ম)





চলুন একনজরে দেখে নেয়া যাক,গৌতম বুদ্ধ বেদ সম্পর্কে কি বলে 
গিয়েছেন-




Sutta Nipat 192
"
বিদ্যা চ বেদেহী সমীচ ধামাম ন উচ্চবাচম গচ্ছতি"
-"
সাধারন লোকেরা ইন্দ্রিয়ার্থে নিবদ্ধ থাকেকিন্তু যারা বেদজ্ঞানী তারা ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞাত তারা এর শিকার হয়না"


Sutta Nipat 503
"
য় বেদেজ্ঞ জ্ঞানারাত সতিম..."
"
একজন লোকের জ্ঞান,স্থিরতা প্রভৃতি অর্জনের জন্য একভন বেদজ্ঞ এর সহচর্য লাভ করা উচিত"


Sutta Nipat 1509
"
য়ম ব্রক্ষনাম বেদজ্ঞম অভিজন্য অকিন্চনম..."
-"
একজন বেদজ্ঞানী জাগতিক সকল কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করেন"


Sutta Nipat 1060
"
বিদ্যা চ স বেদজ্ঞ চারো ইধা ভবভে সংযম ইমাম বিশ্বমা"
-"
একজন বেদজ্ঞানী জাগতিক সুখ ও সম্পত্তির প্রতি আসক্তি ত্যগ করতে সক্ষম হন"


Sutta Nipat 846
"
ন বেদেজ্ঞ সিথিয়া ন মুত্ত স মানমতি নাহি তনমায়োসো"
-"
বেদজ্ঞ এর অহংকারমোহ দুর হয়,তিনি কোন প্রকার লোকপ্রিয়তায় আসক্ত হননা এবং কোন প্রকার বিভ্রান্তির স্বীকার হননা"


Sutta Nipat 458
"
য়দন্তজ বেদজ্ঞ য়ন্জকলে য়শবতি লভে তরস ইজেতি ব্রম"
-"
একজন বেদজ্ঞের অনুগ্রহ পেলে সফলতা নিশ্চিত"


Brahmana Dhamika suta 11/7
"
বেদ স্বর্গীয় এবং প্রকৃত ব্রাক্ষনরা বেদ অনুসরন করত,তারা লোভ ও কাম এর উর্দ্ধে ছিল,তারা বিশুদ্ধ জীবনযাপন করত,বেদপাঠ ও তা প্রচারে নিয়োজিত থাকত,সকল প্রকার প্রানীহত্যা থেকে বিরত থাকতপরবর্তীতে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ প্রচার করে যে বেদ প্রানীহত্যার অনুমোদন দেয়"
ধন্যবাদ সবাইকেনমস্কার

Saturday, July 28, 2012

হিন্দুপাড়ায় হত্যাযজ্ঞ চালাইয় নরপশু মাওলানা আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার




একাত্তরের মে মাসের এক ভোরে আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার ৩০-৩২ জন পাকিস্তানি সেনা সঙ্গে নিয়ে নৌকাযোগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার হাসামদিয়া গ্রামের হিন্দুপাড়ায় যান। সেখানে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে হত্যার পর তাঁরা ময়েনদিয়া বাজারের দোকানপাট লুট করে জ্বালিয়ে দেন। পরে বাচ্চু রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা নৌকাভর্তি লুটের মাল নিয়ে চলে যান।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যার এই একটিসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১০টি ঘটনার তথ্য-প্রমাণসহ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সদস্য (রুকন) আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে; মুক্তিযুদ্ধকালীন নৃশংসতার জন্য যিনি ফরিদপুরে ‘খাড়দিয়ার বাচ্চু রাজাকার’ নামে বেশি পরিচিত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির (চিফ প্রসিকিউটর) কার্যালয়ে আজ রোববার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। তবে ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে বাচ্চু রাজাকার বর্তমানে পলাতক।
মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। রোববার এটি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে এটি জমা দেওয়া হবে। ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল।’
প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে তদন্ত সংস্থার সূত্র জানায়, একাত্তরের ২১ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজর আকরাম কোরাইশীর নেতৃত্বে ৩০০ থেকে ৪০০ পাকিস্তানি সেনা ফরিদপুর যাওয়ার পথে গোয়ালচামট এলাকায় স্থানীয় জামায়াত, মুসলিম লীগ, কনভেনশন মুসলিম লীগের নেতারা তাঁদের অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আবুল কালাম আযাদ। তিনি ওই সময় জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ফরিদপুর শহরে ঢোকার পথে পাকিস্তানি সেনারা প্রভু জগদ্বন্ধু আশ্রমে ঢুকে আটজন হিন্দু পূজারিকে প্রার্থনারত অবস্থায় হত্যা করেন। এরপর শহরে ঢুকে চকবাজারের কয়েকটি দোকান জ্বালিয়ে দেন তাঁরা। 
তদন্ত সংস্থার সূত্র জানায়, পাকিস্তানি সেনারা ফরিদপুর স্টেডিয়াম ও পুরাতন সার্কিট হাউস দখল করে ক্যাম্প বসান। এপ্রিল মাসের শেষদিকে ফরিদপুরে শান্তি কমিটি গঠনের পর মে মাসের প্রথম দিকে আবুল কালাম আযাদের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। পাকিস্তানি সেনারা পরে তাঁকে জেলার আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেন।
গত ২ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল-২-এ আবুল কালাম আযাদকে গ্রেপ্তারের আবেদন উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রপক্ষ বলে, বাচ্চু রাজাকার তাঁর সঙ্গী রাজাকারদের নিয়ে ফরিদপুর পুলিশ লাইনে, অম্বিকা মেমোরিয়াল হল মাঠে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নেন। পাকিস্তানি সেনাদের কাছ থেকে অস্ত্র পেয়ে তিনি ফরিদপুরের জসীমউদ্দীন রোডে হীরালাল মুক্তারের দোতলা বাড়ি দখল করে রাজাকারদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং চকবাজারে বদ্রি নারায়ণের দোতলা বাড়ি দখল করে নির্যাতনকক্ষ ও রাজাকারদের কার্যালয় স্থাপন করেন।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারাধীন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন বাচ্চু রাজাকার। ফরিদপুর স্টেডিয়াম ও সার্কিট হাউসে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে গিয়ে তাঁরা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতেন। বাচ্চু রাজাকারের নেতৃত্বে রাজাকারেরা অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোককে ধরে এনে স্টেডিয়াম ও সার্কিট হাউসে আটকে রাখতেন। পরে তাঁদের নির্যাতন ও হত্যা করে গোয়ালচামটের ভাগাড় নামক স্থানে ও নদীতে ফেলে দিতেন। ওই সময় স্টেডিয়ামে অসংখ্য লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়, মুক্তিযুদ্ধ শেষে স্থানীয় লোকজন সেখানে অসংখ্য লাশ দেখতে পায়।
হত্যা, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ: আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হওয়া উপলক্ষে ২৬ জুলাই তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধকালে ফরিদপুরের অসংখ্য মানুষ বাচ্চু রাজাকারের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে নিহত ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে, যাঁদের অনেককে তিনি নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করেছেন। তদন্তে উঠে এসেছে তাঁর হাতে অপহূত নয়জন ও আটক হওয়া ১০ জনের নাম-পরিচয়সহ সাক্ষ্য-প্রমাণ। তাঁর লুট করা ১৫টি বাড়িসহ জ্বালিয়ে দেওয়া পাঁচটি বাড়ি চিহ্নিত করা গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, একাত্তরের মে মাসে বাচ্চু রাজাকার ১০-১২ জন রাজাকারসহ সশস্ত্র অবস্থায় বোয়ালমারী থানার কলারণ গ্রামের সুধাংশু মোহন রায়ের বাড়ি যায়। রাজাকারেরা সুধাংশু ও তাঁর ছেলেকে বাড়ির পূর্ব পাশের রাস্তায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সুধাংশুর হাতের আঙিট খুলে নিয়ে তাঁরা বাবা-ছেলেকে বাড়ি ফিরে যেতে বলে। সুধাংশু ছেলেকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলে পেছন থেকে বাচ্চু রাজাকার তাঁর হাতের রাইফেল দিয়ে গুলি করেন। সুধাংশু মারা যান, তাঁর ছেলের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে গুলি লাগে।
তদন্ত সংস্থার সূত্র জানায়, সুধাংশুকে হত্যার দু-একদিন পর বাচ্চু রাজাকার তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে সালথা থানার (সাবেক নগরকান্দা) পুরুরা নমপাড়া গ্রামের মাধবচন্দ্র বিশ্বাসের বাড়িতে যান। মাধব মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহায়তা করতেন। মাধবের ঘরে থাকা টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার লুটের পর বাচ্চু রাজাকার তাঁকে বাড়ির পশ্চিমে পুকুরপাড়ে নিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। ওই দিন একই জায়গায় জ্ঞানেন্দ্র মণ্ডল নামে আরেকজনকে গুলি করে হত্যা করেন বাচ্চু রাজাকার। তাঁর ভয়ে ওই গ্রামের ৫০০ থেকে ৬০০ হিন্দু ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়। মে মাসের মাঝামাঝি বাচ্চু রাজাকারদের নেতৃত্বে একটি দল সালথা সাহাপাড়ার দুই হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়ে মূল্যবান তামা-কাঁসা ও সোনা-রূপা লুট করে ঘরবাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। প্রায় একই সময় তাঁরা হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম জয়কালীতে ঘরবাড়ি লুট করেন।
তদন্ত সংস্থার সূত্র জানায়, জুনের প্রথম দিকে এক দিন বাচ্চু রাজাকার ও ২০-২৫ জন সশস্ত্র রাজাকার দুটি বড় নৌকাযোগে সালথা থানার ফুলবাড়িয়া গ্রামে যান। গ্রামটির হিন্দুপাড়ায় লুটপাট চালানোর পর বাচ্চু রাজাকার নিজ হাতে চিত্তরঞ্জন দাস ও বাদল দেবনাথকে হত্যা করেন। চিত্ত ও বাদলের মরদেহের পায়ে দড়ি বেঁধে কুমার নদে ফেলে দেওয়া হয়। অনেক খুঁজেও তাঁদের মরদেহ আর পাওয়া যায়নি।
ধর্ষণ: একাত্তরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বাচ্চু রাজাকার তাঁর রাজাকার সঙ্গীদের নিয়ে বোয়ালমারী থানার একটি গ্রামে যান। রাজাকারেরা সেখানে একটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালালে ওই বাড়ির নারী-পুরুষেরা পালানোর চেষ্টা করে। বেশির ভাগ পালাতে পারলেও দুজন নারী রাজাকারদের হাতে ধরা পড়েন। বাচ্চু রাজাকার ও তাঁর সঙ্গীরা ওই দুই নারীকে গণধর্ষণ করেন এবং স্বর্ণালংকার লুট করেন। ওই ঘটনার পর তাঁরা শরণার্থী হয়ে ভারতে চলে গেলেও স্বাধীনতার পর আবার ফিরে আসেন। কিন্তু দেশে ফিরে তাঁরা দেখেন, বসতভিটা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। ওই দুই নারী আবার ভারতে চলে যান, আর তাঁরা ফেরেননি। 
এই দুই নারী ছাড়াও বাচ্চু রাজাকারের ধর্ষণের শিকার আরেক নারীর পরিচয় ও ঘটনার তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ সদস্য সানাউল হক বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, একাত্তরে বাচ্চু রাজাকার শুধু একজন নৃশংস হত্যাকারী ছিলেন না, তিনি ছিলেন অন্যতম ধর্ষণকারী। মুক্তিযুদ্ধকালে অসংখ্য নারী তাঁর কাছে সম্ভ্রম হারিয়েছেন। তদন্তে এর মধ্যে তিনজনের নাম-পরিচয়সহ তথ্য-উপাত্ত ও সাক্ষ্য পাওয়া গেছে।
ধর্মান্তরিত করা: তদন্ত সংস্থার সূত্র জানায়, একাত্তরের মে মাসে রাজাকারেরা সালথা থানার সাহাপাড়ায় এক বাড়ির কাচারিঘরে ১৫-২০ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোককে জড়ো করে। বাচ্চু রাজাকার তাঁদের ভয় দেখিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে জোর করে ধর্মান্তরিত হওয়া নয়জনের নাম ও পরিচয় দেওয়া হয়েছে।

Labels

বাংলা (171) বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন (22) ethnic-cleansing (17) ভারতীয় মুসলিমদের সন্ত্রাস (17) islamic bangladesh (13) ভারতে হিন্দু নির্যাতন (12) : bangladesh (11) হিন্দু নির্যাতন (11) সংখ্যালঘু নির্যাতন (9) সংখ্যালঘু (7) আরব ইসলামিক সাম্রাজ্যবাদ (6) minority (5) নোয়াখালী দাঙ্গা (5) হিন্দু (5) hindu (4) minor (4) নরেন্দ্র মোদী (4) বাংলাদেশ (4) বাংলাদেশী মুসলিম সন্ত্রাস (4) ভুলে যাওয়া ইতিহাস (4) love jihad (3) গুজরাট (3) বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন (3) বিজেপি (3) ভারতে অনুপ্রবেশ (3) মুসলিম বর্বরতা (3) হিন্দু নিধন (3) George Harrison (2) Julia Roberts (2) List of converts to Hinduism (2) bangladesh (2) কলকাতা (2) গুজরাট দাঙ্গা (2) বাবরী মসজিদ (2) মন্দির ধ্বংস (2) মুসলিম ছেলেদের ভালবাসার ফাঁদ (2) লাভ জিহাদ (2) শ্ত্রু সম্পত্তি আইন (2) সোমনাথ মন্দির (2) হিন্দু এক হও (2) হিন্দু মন্দির ধ্বংস (2) হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা (2) Bhola Massacre (1) English (1) april fool. মুসলিম মিথ্যাচার (1) converted hindu celebrity (1) converting into hindu (1) dharma (1) facebook (1) gonesh puja (1) gujrat (1) gujrat riot (1) jammu and kashmir (1) om (1) religion (1) roth yatra (1) salman khan (1) shib linga (1) shib lingam (1) swami vivekanada (1) swamiji (1) অউম (1) অক্ষরধাম মন্দিরে জঙ্গি হামলা ২০০২ (1) অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী (1) অর্পিত সম্পত্তি আইন (1) আওরঙ্গজেব (1) আদি শঙ্কর বা শঙ্করাচার্য (1) আর্য আক্রমণ তত্ত্ব (1) আসাম (1) ইতিহাস (1) ইয়াকুব মেমন (1) উত্তরপ্রদেশ (1) এপ্রিল ফুল (1) ওঁ (1) ওঁ কার (1) ওঁম (1) ওম (1) কবি ও সন্ন্যাসী (1) কাদের মোল্লা (1) কারিনা (1) কালীঘাট মন্দির (1) কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (1) কৃষ্ণ জন্মস্থান (1) কেন একজন মুসলিম কোন অমুসলিমের বন্ধু হতে পারে না? (1) কেন মুসলিমরা জঙ্গি হচ্ছে (1) কেশব দেও মন্দির (1) খ্রিস্টান সন্ত্রাসবাদ (1) গনেশ পূজা (1) গুজরাটের জঙ্গি হামলা (1) জাতিগত নির্মূলীকরণ (1) জামাআ’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (1) জেএমবি (1) দেশের শত্রু (1) ধর্ম (1) ধর্মযুদ্ধ (1) নবদুর্গা (1) নববর্ষ (1) নালন্দা (1) নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় (1) নোয়াখালি (1) পঞ্চ দেবতার পূজা (1) পহেলা বৈশাখ (1) পহেলা বৈশাখ কি ১৪ এপ্রিল (1) পাকিস্তানী হিন্দু (1) পূজা (1) পূজা ও যজ্ঞ (1) পূজার পদধিত (1) পৌত্তলিকতা (1) ফেসবুক (1) বখতিয়ার খলজি (1) বরিশাল দাঙ্গা (1) বর্ণপ্রথা (1) বর্ণভেদ (1) বলিউড (1) বাঁশখালী (1) বিহার (1) বুদ্ধ কি নতুন ধর্ম প্রচার করেছেন (1) বৈদিক ধরম (1) বৌদ্ধ দর্শন (1) বৌদ্ধ ধর্ম (1) ভারত (1) মথুরা (1) মরিচঝাঁপি (1) মানব ধর্ম (1) মিনি পাকিস্তান (1) মীরাট (1) মুক্তমনা (1) মুক্তিযুদ্ধ (1) মুজাফফরনগর দাঙ্গা (1) মুম্বাই ১৯৯৩ (1) মুলতান সূর্য মন্দির (1) মুলায়ম সিং যাদব (1) মুসলিম তোষণ (1) মুসলিম ধর্ষক (1) মুসলিমদের পুড়ে মারার ভ্রান্ত গল্প (1) মুহাম্মদ বিন কাশিম (1) মূর্তি পুজা (1) যক্ষপ্রশ্ন (1) যাদব দাস (1) রথ যাত্রা (1) রথ যাত্রার ইতিহাস (1) রবি ঠাকুর ও স্বামীজী (1) রবি ঠাকুরের মা (1) রবীন্দ্রনাথ ও স্বামীজী (1) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (1) রিলিজিওন (1) রুমি নাথ (1) শক্তিপীঠ (1) শঙ্করাচার্য (1) শিব লিংগ (1) শিব লিঙ্গ (1) শিব লিঙ্গ নিয়ে অপপ্রচার (1) শ্রীকৃষ্ণ (1) সনাতন ধর্ম (1) সনাতনে আগমন (1) সাইফুরস কোচিং (1) সালমান খান (1) সোমনাথ (1) স্বামী বিবেকানন্দ (1) স্বামীজী (1) হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম (1) হিন্দু জঙ্গি (1) হিন্দু ধর্ম (1) হিন্দু ধর্ম গ্রহন (1) হিন্দু বিরোধী মিডিয়া (1) হিন্দু মন্দির (1) হিন্দু শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাই (1) হিন্দুধর্মে পৌত্তলিকতা (1) হিন্দুরা কি পৌত্তলিক? (1) ১লা বৈশাখ (1) ১৯৭১ (1)

সাম্প্রতিক মন্তব্য

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

সর্বোচ্চ মন্তব্যকারী